উপজেলা হতে পশ্চিম দিকে ৭ কি.মি. দূরে ইছামতি নদীর তীরে ফাদার ইভান্স সড়ক সংলগ্ন বান্দুরা বাজারের দক্ষিণে পাশে বিদ্যালয়টি অবস্থিত।
বান্দুরা হলিক্রশ উচ্চ বিদ্যালয় একটি ঐতিহ্যবাহী এবং প্রাচীন বিদ্যাপীঠ। ঢাকা জেলার অর্ন্তগত নবাবগঞ্জ উপজেলাধীন বান্দুরা এলাকায় ইছামতি নদীর তীরে বিদ্যালয়টির বর্তমান অবস্থান। তৎকালীন বিশপ লিনেবর্ণ মহোদয়ের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ১৯১২ সালের ৮ জানুয়ারী রেভারেন্ড ফাদার জন জে. হেনেসি সি.এস.সি মহোদয়ের হাত ধরে প্রতিষ্ঠানটি তার পথ চলা শুরু করে। সেই থেকে আজ অবধি জাতির অজস্র্ গর্বিত সন্তান এই বিদ্যামায়ের জঠর হতে জ্ঞান প্রদীপ হৃদয়ে জ্বালিয়ে আলোকিত মানুষরূপে আত্মপ্রকাশ করেছেন। ১৯১৬ খ্রীষ্টাব্দে কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এই প্রতিষ্ঠানের ছয়জন ছাত্র প্রথম ম্যাট্রিকুলেশন পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এবং ১৯১৮ খ্রীষ্টাব্দে ২০ নভেম্বর কলিকাতা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক স্থায়ী অনুমোদন লাভ করে।
ক্রমিক নং | শ্রেণী | ছাত্র সংখ্যা | ছাত্রী সংখ্যা | মোট |
১ | ৬ষ্ঠ | ৩৮৬ | - | ৩৮৬ |
২ | ৭ম | ২৯৭ | - | ২৯৭ |
৩ | ৮ম | ৩১০ | - | ৩১০ |
৪ | ৯ম | ৩০৬ | - | ৩০৬ |
৫ | ১০ম | ২৯১ | - | ২৯১ |
ক্রমিক নং | নাম | পদবী | মোবাইল নং |
১ | রেভা: ফাদার আলবিন গমেজ | পাল পুরোহিত | ০১৭১৫০৪১৪৭৮ |
২ | ভিনসেন্ট কেইন গমেজ | অভিভাবক প্রতিনিধি | ০১৭১৫৮৫৩৭০৫ |
৩ | কাজী আব্দুর রশীদ(অনু) | অভিভাবক প্রতিনিধি | ০১৮১৯০৯৯৭৮০ |
৪ | কল্পনা রাণী রায়(কানন) | অভিভাবক প্রতিনিধি | ০১৭৪৩১৮৫৭৮৯ |
৫ | শশাঙ্ক ভূষণ পাল চৌধূরী,সি/শি | শিক্ষক প্রতিনিধি | ০১৮১৭০১৫৪২৬ |
৬ | মো: আবু নঈম, সি/শি | শিক্ষক প্রতিনিধি | ০১৭১৪৮১৮৪২৪ |
৭ | ব্রা: চন্দন বেনেডিক্ট গমেজ, সি.এস.সি | সদস্য সচিব | ০১৭১১৫৯৫২৭১ |
ক্রমিক নং | পরীক্ষার নাম | ২০০৭ | ২০০৮ | ২০০৯ | ২০১০ | ২০১১ |
১ | জে.এস.সি | - | - | - | ৭৪.৫৮ | ৮৮.৩০ |
২ | এস.এস.সি | ৮৪.৭৮ | ৯৭.৩৮ | ১০০ | ৯৭.৫৯ | ৯৭.৪৬ |
ব্রাদার এন্ড্রু সি.এস.সি(১৯২৯-১৯৪০) সুদীর্ঘ এক যুগের অধিক সময়কাল অত্যন্ত দক্ষতা ও সফলতার সহিত প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তাঁর সময়কালকেই ‘‘হলিক্রশের স্বর্ণযুগ’’ বলে অভিহিত করা হয়। এসময় বিদ্যালয়টি শিক্ষা, খেলাধূলা ও সাহিত্য সংস্কৃতির অঙ্গণে গৌরবের সর্বোচ্চ শিখরে আরোহন করে। বিদ্যালয়ের প্রথম বাস্কেটবল ও ওয়াল হ্যান্ডবল কোর্ট তারই আমলে তৈরী হয়। ব্রাদার জন স্টিফেন এ্যামিঞ্জার সি.এস.সি(১৯৭৫-১৯৮৩) এর আমলে বিদ্যালয়ের ত্রিতল ভবন নির্মিত হয়। বিদ্যালয়কে বর্তমান সুদৃশ্য অবস্থানে রূপদান করেন ব্রাদার প্রদীপ লুইস রোজারিও সি.এস.সি। তিনিই বিদ্যালয়ের ত্রিতল ভবনকে চার তলায় উন্নীত, আধুনিক বিজ্ঞানাগার ও কম্পিউটার ল্যাব স্থাপন এবং পুরাতন প্রাচীর ভেঙ্গে সুউচ্চ নতুন প্রাচীর নির্মাণ করেন । তার হাত ধরেই বান্দুরা হলিক্রশ উচ্চ বিদ্যালয় ২০০১ সালে জাতীয় পর্যায়ে ‘‘শ্রেষ্ঠ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান’’ এর মর্যাদা লাভ করে। আদর্শ মানুষ গড়ার কারিগর হিসেবে বিদ্যালয়ের অত্যন্ত দক্ষ ও অভিজ্ঞ শিক্ষক-শিক্ষিকা মন্ডলী সূচারুরূপে নিরলসভাবে তাদের দায়িত্ব পালন করে চলেছেন। যার ফলস্বরূপ এস.এস.সি পরীক্ষায় শতভাগ পাশের রেকর্ড তৈরী হয়েছে। প্রতি বছরই জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষায় উপজেলা ভিত্তিক সর্বোচ্চ সংখ্যক শিক্ষার্থী এই বিদ্যালয় হতে বৃত্তিলাভ করে । এছাড়া খেলাধূলায় বিভিন্ন সময় অত্র বিদ্যালয় শ্রেষ্ঠত্বের গৌরব অর্জন করে। বাস্কেটবল ও হ্যান্ডবল খেলায় একাধিকবার জাতীয় পর্যায়ে চ্যাম্পিয়ন ও বাটা স্কুল হ্যান্ডবলে পর পর তিনবার হ্যাট্রিক চ্যাম্পিয়ন হয়। অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে ১৯৬২ খ্রীষ্টাব্দে এই মহান বিদ্যাপীঠের ৫০ বছর এবং ১৯৮৭ খ্রীষ্টাব্দে ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব পালিত হয়েছে। ২০১২ খ্রীষ্টাব্দের জানুয়ারী মাসে মহা আড়ম্বরের সাথে উদ্যাপিত হয় তার শতবর্ষ পূর্তি অনুষ্ঠান।
ভবিষ্যতে ডিজিটাল বাংলাদেশে বিদ্যালয়টিকে আধুনিকতায় আরো এগিয়ে নিয়ে দেশ ও দেশের বাইরে এর সুনাম ও আদর্শকে আরো মজবুতভাবে প্রতিষ্ঠিত করাই আমাদের পরিকল্পনা।
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস